, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারেনি, বুয়েট স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম

  • আপলোড সময় : ২৬-০৬-২০২৩ ০১:৪৬:২৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৬-২০২৩ ০১:৪৬:২৭ অপরাহ্ন
টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারেনি, বুয়েট স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম ফাইল ছবি
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় গণিত বিভাগে প্রথম হয়েছেন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী ইতি। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো.নাসির উদ্দিন এবং শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী ইতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২৪ জুন) বুয়েটের ওয়েব সাইটে ভর্তি পরীক্ষার এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
 
ইতির বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের জোরগাছ বাজার এলাকার মো.চাঁন মিয়া ও কাজল বেগমের মেয়ে। ইতি ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে জিপিএ ৪.৫৮ নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর ২০১৬-২০১৭ সেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গণিত বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি জিপিএ ৩.৯৩ নিয়ে অনার্স পাশ করেন।
 
ভর্তি পরীক্ষায় এমন সাফল্যে ইতি বলেন, ‘ ফলাফল তালিকায় আমার নাম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে দেখলাম যে নামটা আমার। আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।’
 
‘ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েন করার বাসনা ছিল। এরপর এবার বুয়েটের গণিত বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দেই। আল্লাহর অশেষ রহমতে সুযোগ পেয়েছি। আমি সেখানেই ভর্তি হবো, যোগ করেন ইতি।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে মাস্টার্স ভর্তি হলেও এখন ভর্তি বাতিল করে বুয়েটে ভর্তি হবো। আমার ইচ্ছা বিসিএস করে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করা। 

 জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, আমি শিক্ষাজীবন থেকে মন দিয়ে পড়াশুনা করেছি। কিন্তু টাকার অভাবে ঠিকমতো প্রাইভেট পড়তে পারিনি। তবে স্বপ্ন ছিল মেডিক্যালে পড়াশোনা করব, কিন্তু সেটা হয়নি। পরে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেই। এর মধ্যে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দেই।
 
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও গণিত বিভাগের প্রধান মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন,‘ ফল প্রকাশের পর ইতি ফোন করে সুসংবাদটি জানিয়েছে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে সে জিপিএ-৪ পাওয়ার পর আমরা তার প্রতি আরও যত্নশীল হয়ে উঠি। ফাইনালেও তার ফলাফল ভালো। তার সাফল্যে আমরা আনন্দিত। আমরা ইতির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
 
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো.নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এটা অবশ্যই আনন্দের এবং গৌরবের। কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আমরা একদিন সাফল্যে ভরে উঠবো। ইতি সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে অভিনন্দন জানাই।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস